Recents in Beach

সময়ের ফাঁক - বাংলা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী

বাংলা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী পড়তে সবারই ভালো লাগে । আসুন, আজ আমরা একটি ছোট্ট ছেলে রিজু এবং একজন বয়স্ক মানুষ বিজ্ঞানের সাধক সোমেশ রায়চৌধুরীর একটি আবিষ্কার নিয়ে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী সম্পর্কিত একটি বাংলা ছোট গল্প পড়ি ।

সময়ের ফাঁক

সময়ের ফাঁক

বাংলা ছোট গল্প : ঘাটশিলার কাছে একটা ছোট্ট শহর । রিজুর বাবা এখানে একটা সরকারী চাকরী করেন । তারা বদলি হয়ে এসেছে কয়েক বছর হলো । বেশ কয়েকটা বাঙালী পরিবার এখানে থাকে । কিন্তু রিজুর প্রধান আকর্ষণ তার প্রতিবেশী এক দাদুর বাড়িতে । বেশ বয়স্ক মানুষ সোমেশ রায়চৌধুরী । সারা জীবন কলেজে বিজ্ঞানের অধ্যাপনা করেছেন । বিয়ে-থা করেননি, রিটায়ারমেন্টের পরে এখানে নিরিবিলিতে বাড়ি করেছেন । বাড়িতেই একটা ল্যাবরেটরী বানিয়ে ফেলেছেন । সেখানেই বিভিন্ন রকম গবেষণা নিয়ে পড়ে থাকেন । তার বাড়িতে তিনি ছাড়া আর একজন বয়স্ক সারাক্ষণের কাজের লোক, সেই সব দেখাশোনা করে । আর রান্নার লোকজন এসে রান্না করে দিয়ে চলে যায় ।

দুপুরবেলার এই সময়টা রিজুর খুব একঘেয়ে লাগে ! আসলে এখানে তাদের সকালে স্কুল । মা সব কাজ সেরে এই সময়টায় ঘুমোন । স্কুল থেকে এসে এই সময়টায় রোজ ঘুমাতে ভালো লাগে না রিজুর । কখনো সে হোম ওয়ার্ক করে, কখনো খেলে বিভিন্ন গেম । আর যখন কিছু্ই ভালো লাগে না, খুব একঘেয়ে লাগে, সে চলে আসে প্রতিবেশী দাদুর বাড়িতে । দাদু ঘুমোন না, ল্যাবরেটরীতে কাজ করেন । কিন্তু কাজ করতে করতেই রিজুর সঙ্গে কথা বলেন । আসলে দাদুর সঙ্গে কথা বলে রিজুর নিজের দাদুর মতোই মনে হয় । রিজুর দাদুও এরকমই । রিজুর সব কথার খুব্ই গুরুত্ব দেন, মন দিয়ে শোনেন আর বন্ধুর মতো মেশেন ।  

সেদিনেও দুপুরে আলতো করে দরজা খুলে সে চলে এসেছিলো পাশের বাড়ির দাদুর ল্যাবরেটরীতে । হঠাৎ তার চোখে পড়লো অদ্ভুত একটা যন্ত্রের দিকে । দেখতে অনেকটা পুরানো রেডিয়োর মতো, কিন্তু তার সঙ্গে যোগ করা আছে একটা হেডফোন । আর যন্ত্রটার একটা জায়গায় কাঁচ দিয়ে একটা ঢাকা জায়গায় একটা বোর্ড মতো করা রয়েছে, সেখানে বসানো আছে অনেক ছোট ছোট নীল-সবুজ আলো ।

রিজুর মনে কৌতূহল জাগলো । আর সে প্রশ্ন করলো, "এটা কী জিনিস দাদু ?"

দাদু (সোমেশ রায়চৌধুরী)একটু হেসে বলল, "এটা? এটা দাদুভাই, সময়ের ফাঁক ধরার একটা ছোট্ট যন্ত্র । নতুন বানিয়েছি । এটাকে 'টেম্পোরাল ফোল্ডার' বলা যেতে পারে।"

রিজু অবাক হয়ে বললো, "সময়ের ফাঁক? তাকে কীভাবে ধরবে ?"

সোমেশ রায়চৌধুরী সহজ করে বুঝিয়ে বললেন, "দেখো দাদুভাই, সময় হলো একটা দীর্ঘ রাস্তার মতো । কিন্তু এই রাস্তায় মাঝে মাঝে ছোট্ট ছোট্ট ভাঁজ থাকে, যেমন কাগজ ভাঁজ করলে এক জায়গা আরেক জায়গার খুব কাছাকাছি চলে আসে । আমার যন্ত্রটাও তেমনি সময়ের সেই 'ভাঁজ'কে খুঁজে পায় । যেখানে একটা মুহূর্ত আরেকটা মুহূর্তের পাশাপাশি চলে আসে ।"

"তাহলে... তাহলে কি এর মাধ্যমে অতীতে যাওয়া যাবে ? টাইম মেশিনের মতো?" রিজু বেশ উত্তেজিত হয়ে জানতে চাইলো ।

সোমেশ রায়চৌধুরী মাথা নেড়ে বললেন, "না না, দাদুভাই, এর মাধ্যমে অতীতে 'যাওয়া' যায় না" । কিন্তু এই মেশিনের মাধ্যমে সময়ের ফাঁক দিয়ে তুমি শুধু দেখতে পারো । খুব স্পষ্টভাবে, যেন তুমি সেখানে আছো, কিন্তু কেউ তোমাকে দেখতে পাবে না, তুমি কিছু ছুঁতেও পারবে না । তুমি শুধু দেখতে আর শুনতে পারবে । একটা... জীবন্ত সিনেমার মতো ।"

রিজুর হৃদয উত্তেজনায় ধুকপুক করছিলো । সে অনুরোধ করে বললো "আমাকে একবার চেষ্টা করতে দেবে, প্লিজ ? "

সোমেশ রায়চৌধুরী একটু ভেবে মুচকি হেসে বললেন, "ঠিক আছে। কিন্তু খুব সাবধানে। কোন ভুল করো না কিন্তু । মনে রাখবে তুমি শুধু একজন দর্শক মাত্র । আর মনে রেখো, তুমি শুধু একটা 'ফাঁক' দিয়ে উঁকি দিচ্ছো ।" সে যন্ত্রটা রিজুর হাতে দিল, আর  হেডফোনটা এগিয়ে দিয়ে বললেন, "এটা কানে লাগাবে । আর এই সবুজ সুইচটা টিপে মনে মনে ভাববে তুমি কোন মুহূর্তটা দেখতে চাও? খুব স্পষ্ট করে মনে করার চেষ্টা করবে । আর বন্ধ করার সময় এই লাল সুইচটা টিপলে তুমি সেই মূহূর্ত থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে। আর অনেক লম্বা মূহুর্তর মধ্যে বেশিক্ষণ থাকবে না, ছোট ছোট মূহুর্ত মনে করবে।"

রিজু মেশিনটা পুরো রেডি করে চোখ বন্ধ করল । তার মনে পড়তে লাগলো তিন বছর  আগে তার জন্মদিনের পার্টির কথা । বন্ধুরা সবাই এসেছিলো, মা সুস্বাদু কেক বানিয়েছিলেন, বাবা নতুন একটা গেম কিনে দিয়েছিলেন । সেই আনন্দের মুহূর্তটা আবার দেখতে ইচ্ছা করলো তার । সে গভীরভাবে সেই দিনটার কথা ভাবল, বিশেষ করে কেক কাটার মুহূর্তটা ।

হঠাৎ! কানে একটা মৃদু গুঞ্জন হতে লাগলো । তারপর, তার মনে হলো সে যেন নিজের ঘরের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে! কিন্তু এই ঘরটা যেন একটু অন্যরকম । বালিশগুলো ছড়ানো, দেয়ালে নতুন পোস্টার... ঠিক, এটাই তো তার গত তিন বছর আগেকার ঘর! আর... ওই তো! সে নিজেই (ছোট্ট রিজু) টেবিলের পাশে দাঁড়িয়ে, তার মাথায় কাগজের মুকুট। তার সামনে বড় একটা চকোলেট কেক। তার বন্ধুরা সবাই 'হ্যাপি বার্থডে' গাইছে! মা হাসছেন, বাবা ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও করছেন।

রিজুর (বর্তমানের) নিঃশ্বাস যেন আটকে গেল! এটা অবিশ্বাস্য! সে সত্যিই সেখানে পৌছে গেছে । সে তার ছোট্ট নিজের মুখের আনন্দের ভাব দেখতে পাচ্ছে, বন্ধুদের চিৎকার শুনতে পাচ্ছে, এমনকি কেকের মিষ্টি গন্ধও পাচ্ছে! যেন হাই-ডেফিনিশন মোশন পিকচারে সবকিছু দেখছিল সে । কিন্তু কেউই যেন তাকে দেখতে পাচ্ছে না । সে যেন একদম স্বচ্ছ, একটা অতিরিক্ত ছায়ার মতো ।

সে খুব আনন্দ পেলো । মায়ের হাসি দেখে আবেগে তার মনটা ভরে উঠলো । এত স্পষ্ট, এত জীবন্ত ! সোমেশ রায়চৌধুরীর কথা মনে তার মনে পড়লো – “মনে রাখবে তুমি শুধু একজন দর্শক মাত্র” । কথাটা মনে রেখে রিজু তাই করলো, শুধু মুগ্ধ দৃষ্টিতে সেই সুন্দর মুহূর্তটা উপভোগ করলো ।

হঠাৎ যন্ত্রে যেন একটা টিনটিন শব্দ হতে লাগলো । আর দৃশ্যটা ঝাপসা হতে শুরু করল। মুহূর্তের মধ্যে লাল সুইচ টিপতেই আবার সে তার বর্তমান ঘরে ফিরে এলো । সোমেশ রায়চৌধুরীর সামনে দাঁড়িয়ে মৃদু মৃদু হাসছেন ।

"ওহ!" রিজু যেন অনেকক্ষণ চেপে রাখা একটা দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে বলল, " দাদু, এটা... এটা অসাধারণ ছিলো!"

সোমেশ রায়চৌধুরী হেসে বলল, "বুঝলে তো? সময়ের ফাঁক। কিন্তু মনে রেখো, এটা একটা খুব সেনসিটিভ জিনিস। বারবার বা অনেকক্ষণ ব্যবহার করলে... সমস্যা হতে পারে।"

কিন্তু রিজুর কৌতূ্হল থামতে চাইছিলো না । সে সোমেশ রায়চৌধুরীর কাছে অনেক অনুরোধ করে পরের কয়েকদিনের জন্য গোপনে যন্ত্রটা ধার নিয়ে নানা মুহূর্ত দেখল – স্কুলের প্রথম ফুটবল ম্যাচে গোল করার দিন, দাদুর সাথে পুকুরে ছিপ নিয়ে মাছ ধরতে যাওয়া, এমনকি ছোটবেলায় বৃষ্টিতে ভিজে খেলার দিনও। প্রতিবারই সে মুগ্ধ হত, আনন্দ পেত। কিন্তু প্রতিবার ফিরে আসার পর সে একটু একটু ক্লান্ত বোধ করত, মাথাটা যেন অল্প ঘুরতো, মনে হতো যেন সে অনেক দূর থেকে হেঁটে এসেছে।

একদিন, সে খুব মন খারাপ করে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরলো । স্কুলের একটা পরীক্ষায় সে খুব খারাপ করেছিলো । দুপুরে সে ভাবলো, সেই দিনটা সে আবার দেখবে যখন সে ক্লাসে সেরা নম্বর পেয়েছিলো । গর্ব আর আনন্দে ভরপুর সেই মুহূর্তটাকে সে আবার অনুভব করতে চাইছিলো ।

সে যন্ত্র চালু করলো, গভীরভাবে সেই দিনটার কথা ভাবলো । কিন্তু এবার কিছু গোলমাল হল । যন্ত্রটা জোরে ঝনঝন করতে লাগল,  আর ছবিগুলো অস্পষ্টভাবে কাঁপতে লাগলো । সেই কাঁপা কাঁপা অস্পষ্ট ছবিতে সে নিজেকে দেখল সেই পুরনো দৃশ্যে, তার ক্লাসের শিক্ষক তার প্রশংসা করছেন । কিন্তু এবার... তার নিজের (অতীতের) মুখে গর্বের জায়গায় কি একটা সামান্য ভয়ের ভাব দেখা যাচ্ছিলো ? নাকি সে ভুল দেখছে?

রিজু আতঙ্কিত হয়ে যন্ত্রটা বন্ধ করে দিলো । সে তাড়াতাড়ি তার টেবিলের ড্রয়ার খুললো, সেখানে রাখা পরিবারের পুরানো ছবির অ্যালবামটা বের করলো । সে বিশেষ করে খুঁজছিলো তার সেরা নম্বর পাওয়ার দিনের ছবিটা । সেদিন বাবা তাকে ছবি তুলে দিয়েছিলেন, হাতে সার্টিফিকেট নিয়ে দাঁড়ানো ।

ছবিটা খুঁজে পেলো সে । কিন্তু... কাগজের ছবিটাতে তো তার হাসি হাসি মুখই দেখা যাচ্ছে । তাহলে মেশিনের সাহয্যে দেখা ছবিটায় কি সত্যিই তার মুখে সেই বিশাল গর্বের হাসি ছিল? মনে হচ্ছিল সে একটু... চিন্তিত? নাকি সেটা সবসময়ই ছিল, সে আগে কখনো খেয়াল করেনি? সে নিশ্চিত হতে পারছিল না, কেন এমন হলো । একটা অদ্ভুত শিরশিরানি তার গায়ে বয়ে যেতে লাগলো ।

সে অ্যালবাম খুলে আরও একটা ছবি দেখলো । তার জন্মদিনের ছবিগুলো... একটায় মায়ের হাসি কি একটু কম উজ্জ্বল লাগছে? নাকি সব আলোর খেলা? সে নিজেকে প্রশ্ন করতে লাগলো– আমি কি অতীতের সেই মুহূর্তগুলোকে নিজের স্মৃতির চেয়েও বেশি 'পরিপূর্ণ' করার চেষ্টা করছিলাম? বারবার সেই 'ফাঁক' দিয়ে উঁকি দেওয়ায় কি আমি নিজের স্মৃতিগুলোকেই একটু একটু করে বদলে দিচ্ছি? নাকি শুধুই বেশি মনোযোগ দিচ্ছি?

 

সে আবার সোমেশ রায়চৌধুরীর কাছে ছুটে গেল । তার হাত কাঁপছিলো । "দাদু! কিছু একটা ঠিক নেই! আমার ছবিগুলো... মনে হচ্ছে একটু... বদলে গেছে? আমি কি কিছু খারাপ করে ফেলেছি?"

সোমেশ রায়চৌধুরী গম্ভীর হয়ে তাকাল। "দাদুভাই, সময়ের এই ফাঁকগুলো খুব সূক্ষ্ম । বারবার একই জায়গায় ফোকাস করলে, একই মুহূর্ত বারবার 'দেখার' চেষ্টা করলে... এটা একটা সামান্য 'প্রতিধ্বনি’র মতো তৈরী করতে পারে । যেমন পুকুরে পাথর ছুঁড়লে ঢেউ ওঠে । মনে রেখো, তুমি অতীতকে বদলাতে পারো না, কিন্তু তুমি যেভাবে সেটাকে দেখো বা মনে রাখো, তাতে সামান্য প্রভাব ফেলতে পারো । আরেকটা বিষয় – তুমি যতবার অতীতে ফিরে গেছো, ততবারই তুমি বর্তমান থেকে শক্তি খরচ করেছো । এটা তোমাকে ক্লান্ত করে দিচ্ছে, কারণ তুমি একই সাথে দুই জায়গায় 'আছো’ অথচ তোমার মন বারবার সেই স্মৃতির ভার টানছে ।"

রিজু ভয়ে কুঁকড়ে গেল। "তাহলে আমি কী করব? আমার মায়ের সেই হাসি... আমার নিজের সেই আনন্দ... আমি কি তা হারিয়ে ফেলব?"

সোমেশ রায়চৌধুরী তার কাঁধে হাত রেখে বলল, "না দাদুভাই, তুমি এখনই থামো, আর কখনো এই যন্ত্র ব্যবহার করো না । আসলে স্মৃতিগুলো তোমার মনে ঠিকই আছে, শুধু তুমি এখন একটু বেশি সচেতন হয়ে গেছো । সময়ের ফাঁকে উঁকি দেওয়া বন্ধ করলেই দেখবে সব ঠিক হয়ে যাবে । সত্যিকারের জীবন, সত্যিকারের অনুভূতি, সত্যিকারের হাসি – সেগুলো বর্তমানে ঘটে । অতীতের একটা প্রতিচ্ছবি দেখার জন্য বর্তমানের শক্তি নষ্ট কোরো না ।"

রিজু একটা গভীর শ্বাস নিলো । সোমেশ রায়চৌধুরীর কথা তার বুঝতে কষ্ট হল না। সে যন্ত্রটা সোমেশ রায়চৌধুরীকে ফেরত দিলো । "ধন্যবাদ দাদু । আর নয়, আমি... আমি এখন বাড়ি  যাব ।"

বাড়ি ফেরার পথে সে আকাশের দিকে তাকালো । আকাশে তখন সন্ধ্যার প্রথম তারা উঠছে । তার মন থেকে উদ্বেগটা ধীরে ধীরে সরে যেতে লাগলো । সে ভাবতে লাগলো, আজ রাতে মা কী রান্না করেছেন? কাল স্কুলে বন্ধুদের সাথে কী নিয়ে কথা বলবে? আগামী শনিবারে দাদুর বাড়ি যাওয়া হবে... এই চিন্তাগুলোই তাকে আবার উৎসাহিত করে তুললো ।

সে বুঝতে পারল, সোমেশ রায়চৌধুরী ঠিকই বলেছেন । অতীতের সুন্দর মুহূর্তগুলো সত্যিই তার স্মৃতিতে উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে । কিন্তু তার চোখের সামনে যা ঘটছে – এই সন্ধ্যার শীতল হাওয়া, বাড়ির জানালায় জ্বলন্ত আলো, ভিতর থেকে ভেসে আসা মায়ের ডাক – এটাই তো আসল জিনিস ! এটাই তো তার এখনকার সময়, তার নিজের জীবন, যা সে সত্যিই অনুভব করতে পারে, তাকে গড়ে তুলতে পারে।

সে দ্রুত পা বাড়ালো । তার মনের মধ্যে টানটান উত্তেজনার জায়গাটা এখন দখল করেছে এক নতুন ধরনের শান্তি আর সিদ্ধান্তের দৃঢ়তা । সে ভবিষ্যতের দিকে তাকালো, অতীতের দিকে নয় । কারণ সে উপলব্ধি করেছে, জীবনের সবচেয়ে বড় রহস্যটা- সবচেয়ে মূল্যবান মুহূর্তটা - লুকিয়ে আছে বর্তমানের এই এক ফালি সময়ের মধ্যেই ।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ